নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমে সহযোগিতা করায় সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সামিউল আলমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানান বাবুল। এর আগে, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাবুল গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত বাবুল নেত্রকোণার খায়ের বাংলা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। সম্পর্কে ভুক্তভোগী সাদ্দামের ভায়রা হন বাবুল।
এর আগে, গত শুক্রবার সকালে নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের আশরাফপুর বিল থেকে সাদ্দামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাদ্দাম একই উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের ছাত্তার মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহত সাদ্দামের ভাই অজ্ঞাতদের আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি শচীন চাকমা জানান, সাদ্দামের লাশ উদ্ধারের পর তদন্তে নামে পুলিশ। তথ্য-প্রযুক্তির ভিত্তিতে নিহত সাদ্দামের ভায়রা বাবুলকে শনাক্তের পর গ্রেফতার করা হয়। সোমবার আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বাবুল।
বাবুল জবানবন্দিতে জানান, তিনি প্রায় ১০ বছর আগে নবীনগরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে সাত বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। কাজের সুবাদে নরসিংদীতে বসবাস করেন বাবুল। এরমধ্যে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা পালিয়ে নবীনগর চলে যান। বিয়ে না করেও সংসার শুরু করেন। এতে ঐ নারী গর্ভবতীও হন। এসবে সহায়তা করে আসছিলেন বাবুলের স্ত্রীর বোনের স্বামী সাদ্দাম। সাদ্দাম সব কিছু জেনেও ভায়রা বাবুলকে কোনো সহায়তা করেননি। এ ক্ষোভে গত শুক্রবার সাদ্দামকে পরিকল্পিতভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান বাবুল।
Posted ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin